মাথাব্যথার কারণ ও তা থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়াউপায়

মাথা ব্যথা খুব সাধারণ ব্যাপার মনে হলেও তা কিন্তু অনেক রোগের লক্ষণ। খুব বেশি মানসিক চাপ থাকলে, ঘুম না হলে, চোখের উপর চাপ বেশি পড়লে মাথা ব্যথা বেশি হয়। এছাড়াও গ্যাস, অম্বলের কারণেও তা হতে পারে। আবার ব্রেন টিউমার বা অন্য যে কোনও গুরুতর রোগের লক্ষণ হল মাথা ব্যথা। আর মাথা ব্যথা হলে কোনও ভাবেই কোনও কাজে মন দেওয়া যায় না। আর মাথা ব্যথা হলে অধিকাংশই মুঠো মুঠো ওষুধ খান। যে অভ্যাস কিন্তু একেবারেই ভাল নয়। কারণ এই সব ওষুধ লিভারের উপর চাপ ফেলে। বিশেষজ্ঞদের দাবি অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানসিক চাপই হল মাথাব্যথার অন্যতম কারণ। আরও যে কারণে মাথা ব্যথা হতে পারে-

  • ঠান্ডা লাগলে
  • অতিরিক্ত মদ্যপান করলে
  • চোখের সমস্যা হলে
  • হজমের সমস্যা হলে

মাথা ব্যথার থেকে রেহাই পেতে পেনকিলার খাওয়ার অভ্যাস খুব খারাপ। কারণ এতে ওভারডোজ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে। আর তাই চেষ্টা করুন প্রাকৃতিক কিছু উপায় মেনে চলতে। তাই প্রথমেই কানে হাত দিন। পদ্মাসনে বসে দু কান কিছুক্ষণ চেপে রাখলে তাতে মাথা ব্যথা কমে যায়। এছাড়াও দু কান চেপে বজ্রাসনে বসতে পারেন। কিছুক্ষণ অনুলোম-বিলোম করলেও মাথা ব্যথা থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও ইষদুষ্ণ জল খান। তিন থেকে চারগ্লাস পর্যন্ত ইষদুষ্ণ জল খেতে পারেন। জলের মধ্যে সামান্য পুদিনা আর তুলসি পাতা ফেলে খেতে পারলে তাতেও কিন্তু মাথা ছেড়ে যায়। আদা দিয়ে গ্রিন টি বানিয়ে খেতে পরেন। গ্রিন টি যত বেশিবার খাওয়া যাবে ততই ভাল। এতে শরীরের ডিটক্সিফিকেশন হয় সেই সঙ্গে মাথাব্যথাও অনেকটা কমানো সম্ভব হয়। তবে প্রায়শই মাথা ব্যথা হলে ফেলে না রেখে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।

মাথাব্যথা খুব সাধারণ সমস্যা। অনেক সময় মাথাব্যথা এতটাই বেশি হয় যে সহ্য করা কঠিন হয়ে পড়ে। সাধারণ শরীরে জলের অভাব তৈরি হয়ে মাথার যন্ত্রণা হয়। আবার অনেক সময় গ্যাস-অম্বলের কারণেও মাথার যন্ত্রণার সমস্যা দেখা দেয়। অনেকেই হয়তো ভাবছেন, যে পেটের সঙ্গে মাথার কী সম্পর্ক রয়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, সম্পর্ক রয়েছে। বদহজমের সমস্যা থেকে মাথার যন্ত্রণা হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্যাস-অম্বলের কারণে মাথাব্যথা হওয়া খুব স্বাভাবিক। কিন্তু এটা কেন হয় এবং কীভাবে এই সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সেটা জানা বেশি জরুরি। দুর্বল হজম স্বাস্থ্যের কারণে মূলত মাথার যন্ত্রণা হয়। খাবার ঠিকমতো হজম না হলে পেটে গ্যাস তৈরি হতে থাকে। এখান থেকেই মাথার যন্ত্রণা শুরু হয়। মূলত শরীরে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে গেলে মাথাব্যথা শুরু হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, কার্বোহাইড্রেট এবং চিনি ঠিকভাবে হজম হয় না। তখন পেটে গ্যাস তৈরি হতে শুরু করে। এখান থেকে মাথার যন্ত্রণা শুরু হয়।

আবার একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, যাঁরা ঘন ঘন হজম সংক্রান্ত সমস্যায় ভোগে, তাঁদের মধ্যে মাথার যন্ত্রণা সবচেয়ে বেশি দেখা দেয়। গ্যাসের সমস্যা থেকে পেট ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, বমি বমি ভাব এবং বমি, ক্লান্তি ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও বদহজমের কারণে ঠিকভাবে ঘুম হয় না, বিষণ্ণতা, উদ্বেগের লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়। এগুলোও মাথার যন্ত্রণার সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। এক্ষেত্রে আপনি ঘরোয়া প্রতিকারের সাহায্য নিতে পারেন। লেবুর জল – হালকা গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। এটি গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি মাথার যন্ত্রণা কমাতেও সাহায্য করে। তাছাড়া শরীর হাইড্রেটেড থাকলে মাথার যন্ত্রণাও কমে যায়।

ঘোল – টক দই দিয়ে তৈরি ঘোল পান করুন। ঘোলের মধ্যে ভাল ব্যাকটেরিয়া রয়েছে, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে। এতে বদহজমের সমস্যাও ধীরে ধীরে কমে যায়। আর মাথার যন্ত্রণাও হয় না।

খাবারের পর প্রয়োজনীয় জলপান করুন – অনেক সময় ডিহাইড্রেশনের কারণে মাথার যন্ত্রণা এবং গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়। সে জন্য উপযুক্ত পরিমাণে জল পান করতে হবে। কেমন খাবার খেয়েছেন তার ওপর ভিত্তি করে যদি জলপানের পরিমাণ ঠিক রাখেন তাহলে আপনিএকাধিক শারীরিক সমস্যাকে প্রতিরোধ করতে পারবেন।

ভেষজ জল পান করুন – আদা, মৌরি কিংবা পুদিনা পাতার জল পান করুন। এই ভেষজ উপাদানগুলো হজমের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। নিয়মিত মৌরি ভেজানো জল বা আদা দিয়ে চা খেলে বদহজমের সমস্যা দূর করা সম্ভব। এই উপাদানগুলোর মধ্যে অ্যান্টি- ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে যা শরীরকে নান উপায়ে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

Popular Doctors

Related Articles